সি ও মে ক ( S O M C )
৳ 450.00 ৳ 400.00
সি ও মে ক
S O M C
Sylhet Osmani Medical College / S O M C
By Manoj Dutta
a novel which isn’t a novel only…
এই প্রথম শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষা, শিক্ষা-দাতা ও শিক্ষা-গ্রহীতা’দের নিয়ে বিবেক ও আবেগের এক সাংঘর্ষিক উপন্যাস যেখানে সব মনুষ্যত্বের আঁতুড়ঘর শিক্ষা নয় এবং সব প্রেমের উৎস ভালোবাসা নয়
[ an autobiography of a student against the student life (1994-2004) ]
… … সক্রেটিসকে কাঠগড়ায় উঠিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল । অনেক প্রশ্ন । প্রথম প্রশ্নটি ছিল ‘দেশপ্রেম কি?’ – শেষ প্রশ্নটি ছিল ‘সত্য কি?’ শাসকগোষ্ঠী ও চার্চ কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত কারণে এই মহান মানুষটিকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে তার অন্যতম কারণ তিনি ছাত্রদের প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিলেন । আশ্চর্য হলো তাঁকেও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছিল শাসকগোষ্ঠী আর তিনি নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিচ্ছিলেন ।
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এমন কিছুই নেই যা প্রশ্নের অতীত । প্রশ্নও প্রশ্নবিদ্ধ হয় ।
(উপন্যাসটির ‘ভূমিকা’ থেকে)
… … কেউ বলে স্মৃতি প্রতারক, কেউ বলে অমূল্য । আবার স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগই পায় না কেউ । যারা পায় আমি তাদের দলে । সেই দুর্বার ছুটোছুটি, সেই কাছে টানা, ছাত্রত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো সেই উপহাস, সেই রাজনীতির টানাপোড়েন, সেই ধরি মাছ না ছুঁই পানিতে কল্পনার সাঁতার, সেই ধুন্ধুমার জিঘাংসায় আবার ভালোবাসার বীজগণিত… সেইসব ‘সেই’-দের যারা দূরে ঠেলে তারা হয় দুর্ভাগা নয় তো ক্লীব জড় । আবার কেউ বলে বাস্তব কাঠিন্য নাকি দরজা দিয়ে ঢুকলে, স্মৃতি বায়বীয় হয়ে জানালা দিয়ে পালায় । পালালেও সেই বায়ুর আঘ্রাণ মোহময়, কারো কারো কাছে তিক্ত চপেটাঘাত আবার কারোর আবহাওয়ার নিম্নচাপে বেঁচে থাকার শক্তি ।
জীবন এক বিচিত্র ভুলভুলাইয়া । স্রোতের ভাঙনই আমরা দেখি, ভাঙনের বিপরীতে জেগে ওঠা চর সবাই দেখি না । একে খুঁজে নিতে হয় । … …
a MKDPF publication //
Description
সি ও মে ক
By Manoj Dutta
S O M C / Sylhet MAG Osmani Medical College
a novel which isn’t a novel only…
এই প্রথম শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষা, শিক্ষা-দাতা ও শিক্ষা-গ্রহীতা’দের নিয়ে বিবেক ও আবেগের এক সাংঘর্ষিক উপন্যাস যেখানে সব মনুষ্যত্বের আঁতুড়ঘর শিক্ষা নয় এবং সব প্রেমের উৎস ভালোবাসা নয় .. .. [ an autobiography of a student against the student life (1994-2004) ]
… … সক্রেটিসকে কাঠগড়ায় উঠিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল । অনেক প্রশ্ন । প্রথম প্রশ্নটি ছিল ‘দেশপ্রেম কি?’ – শেষ প্রশ্নটি ছিল ‘সত্য কি?’ শাসকগোষ্ঠী ও চার্চ কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত কারণে এই মহান মানুষটিকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে তার অন্যতম কারণ তিনি ছাত্রদের প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিলেন । আশ্চর্য হলো তাঁকেও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছিল শাসকগোষ্ঠী আর তিনি নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিচ্ছিলেন । এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এমন কিছুই নেই যা প্রশ্নের অতীত । প্রশ্নও প্রশ্নবিদ্ধ হয় । … (উপন্যাসটির ‘ভূমিকা’ থেকে)
… … কেউ বলে স্মৃতি প্রতারক, কেউ বলে অমূল্য । আবার স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগই পায় না কেউ । যারা পায় আমি তাদের দলে । সেই দুর্বার ছুটোছুটি, সেই কাছে টানা, ছাত্রত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো সেই উপহাস, সেই রাজনীতির টানাপোড়েন, সেই ধরি মাছ না ছুঁই পানিতে কল্পনার সাঁতার, সেই ধুন্ধুমার জিঘাংসায় আবার ভালোবাসার বীজগণিত… সেইসব ‘সেই’-দের যারা দূরে ঠেলে তারা হয় দুর্ভাগা নয় তো ক্লীব জড় । আবার কেউ বলে বাস্তব কাঠিন্য নাকি দরজা দিয়ে ঢুকলে, স্মৃতি বায়বীয় হয়ে জানালা দিয়ে পালায় । পালালেও সেই বায়ুর আঘ্রাণ মোহময়, কারো কারো কাছে তিক্ত চপেটাঘাত আবার কারোর আবহাওয়ার নিম্নচাপে বেঁচে থাকার শক্তি । জীবন এক বিচিত্র ভুলভুলাইয়া । স্রোতের ভাঙনই আমরা দেখি, ভাঙনের বিপরীতে জেগে ওঠা চর সবাই দেখি না । একে খুঁজে নিতে হয় । … …
a MKDPF publication //
From a chapter of the book (partial and shortened) :
”.. .. আমি তখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্ট কেবিনের মোটা তোষক দেয়া আরামের বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছি। ফাইলে ডায়াগনোসিসের পাশে ব্র্যাকেটবন্দি কোয়েরি মার্ক। ইউরেটেরিক স্টোন (?)। কিন্তু রেডিওলজির ঝানু কামরুজ্জামান স্যার বলছেন ওটা আর্টিফ্যাক্ট। বলছেন বটে তবে তিনিও এক্স-রে রিপোর্টে স্টোন লিখে কোয়েরি দিয়েছেন। আর একটা খুব কমন গোলমেলে কথা লিখেছেন। কোরিলেট উইথ ক্লিনিক্যাল সিম্পটমস। আমি এ কথাকে বাংলা করেছি ‘পাপের সাথে পুণ্যকে মেলাও’। যা হোক স্টোনের সাইজ ছোট। আমাকে প্রচুর পানি খেতে বলা হয়েছে। হিতাকাঙ্খী সিনিয়রদের গোপন পরামর্শে বাঁদরের মতো লাফালাফিও করছি। স্টুডেন্টস কেবিনের ডিউটি সিস্টার অনিমা দিদি কমোডের পরিবর্তে দেখা যায় মতো জায়গায় পেশাব করতে বলেছেন। শুধু লজ্জায় বলেননি নিজের পেশাব আমার নিজের হাতে ফেলতে, পাথর বেরুলেই খপ্ করে হাতে নিয়ে নেয়া যাবে। পাথর বেরুলো না, ব্যথাও বাড়লো। তবে লাফালাফিতে কোন ব্যথা নেই। বেদনা আসে বেদনার সময়ে। দিনে ঘুম ছাড়া ঘন্টায় দু’বার বা দু’ঘন্টায় তিন বার। এ হিসাব আমার মাতৃজননীর। তিনি এসেছেন কারণ শোনা যাচ্ছে আমার অপারেশন হবে। সে আমলের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড (আই ভি ইউ) ইনট্রাভেনাস ইউরোগ্রাফিও করা হলো। তখন ইউরোলজি পুরোপুরি সার্জারি থেকে আলাদা ছিলো না। নিজেকে ইউরোলজিস্ট বলে সগর্বে ক্লেইম করা (প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী সহ) প্রমোদ সিংহ সার্জারি ওয়ার্ডের ভেতরেই সবেমাত্র তাঁর সংশ্লিষ্ট রোগিদের বেড আলাদা করেছেন। তাঁকে স্টেডিয়াম মার্কেট চেম্বারে ফাইলপত্র দেখানো হলো। লাভ হলো না। তিনি বেড়ালের মতো চুপসে গেলেন। সিনিয়ররা আনলেন সে সময়ের আর এস তুখোড় সার্জেন রফিকুস সালেহীনকে। তিনি যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিলেন। স্টোন স্পাইকি, তাই মূত্রনালির ভেতরের দেয়ালে গেঁথে আছে ও বেরুচ্ছে না। ব্যথার ফ্রিকোয়েন্সি এ কারণেই বেশি। কামাল করলেন বিলেত থেকে আসা এম এ জুলকিফল। তিনি এক ঝলক ফিল্ম দেখেই বললেন, এটা স্টোন নয়। এটা ক্যালসিফাইড লিম্ফ নোড।
আমি যাঁর অধীনে ভর্তি তিনি সব শুনেছেন বা শুনেননি। কিন্তু দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর রেজিস্ট্রার সায়েক আজিজ চৌধুরি। শল্যবিদ্যাকে তিনি নৃত্যবিদ্যায় পরিণত করেছেন। নাচতে নাচতে অপারেশন করেন। সার্জিক্যাল নাইফ তাঁর কাছে নুডুলস খাওয়ার কাঁটা চামচ। তিনি আজ সকালেই রাউন্ড দিলেন। হিসাব বেহিসাবী হলো রাউন্ডের পর থেকে। হিসাব ছাড়া ব্যথা শুরু হলো। সায়েক আজিজ আবার আসলেন। বমি হয়েছে কম, বমি ভাব বেশি, জ্বর আছে, ব্যথাতো আছেই বরঞ্চ বাড়ছে ডানদিকে। কথিত স্টোনও ডানে। রাইট সাইডেড ইউরেটেরিক স্টোন। সায়েক আজিজ তাঁর বলপেনের অগ্রভাগে চাপ দিয়ে একবার কলমের শিস বের করছেন আবার চাপ দিয়ে বের হওয়া শিস ভেতরে ঢোকাচ্ছেন। আর বাম হাতে কলমের মতোই খোঁচাখুঁচি করছেন আমার পেট। রক্ত, পেশাব আবার পরীক্ষায় দেয়া হলো। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সব করার পর যখন শুনলেন আমি এক বছর ধরে কোন শাকসব্জি খাইনি, তিনি আমার পেট খোলার সিন্ধান্ত নিলেন। প্রয়োজনে আবার বন্ধ করবেন, কোন ব্যাপার না।
নাথিং বাই মাউথ থাকার পর আমাকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার শেষ প্রস্তুতির খবর শোনাতে সিস্টার অনিমা দি’ আসলেন তখন থেকেই ব্যথা কমা শুরু হলো। দ্রুতগতিতে কমা। আমাকে যথারীতি ওটি’র ওয়েটিং রুমে নেয়া হলো। আমি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত। মন ও প্রাণ বলছে আমি সুস্থ। আমি স্যারকে বললাম আমি সুস্থ। সায়েক আজিজ চৌধুরি বলেন ব্যথা আছে, আমি বলি নাই। আছে নাই। আছে নাই। এভাবে আছে-নাই করতে করতে সায়েক আজিজের হাত বলপেনের মতো খোঁচাচ্ছিল আমার পেট ও পেটের অন্দরমহল। এক পর্যায়ে কাতুকুতুতে আমি হেসে দিলাম। স্যার হুংকার দিলেন, স্টপ ইট। আমার অপারেশন রদ করে আমাকে যখন ওটি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন স্যার একটা কথা বার বার বলছিলেন। ম্যালিঙগারিং, ম্যালিঙগারিং। তিনি মীর মাহবুব স্যার। .. ..”

a MKDPF publication // www.mkdpf.com
Reviews
There are no reviews yet.