M K Dutta Publication Forum

Sale!

বিধর্মী NaCl ( বিধর্মী সোডিয়াম ক্লোরাইড )

৳ 500.00 ৳ 410.00

Bidhormi NaCl

বিধর্মী NaCl ( বিধর্মী সোডিয়াম ক্লোরাইড )

বিধর্মী NaCl  

By মনোজ দত্ত    

[  বইটি শেষ থেকে শুরুতে পড়তে হবে; এটি ৫২১ পৃষ্ঠার বই। পড়তে হবে পৃ: ৫২১, ৫২০, ৫১৯, ৫১৮, ৫১৭ .. এভাবে, কারণ বইটি পরকাল ঘুরে এসেছে। ফিরদাউসে এক লুকোনো ছাপাখানা থেকে এটি চুরি গেছে। বিস্তারিত জানতে পুরোটা পড়ুন।  ]

বইটির ভূমিকা থেকে :

(( অংশবিশেষ :

মানুষকে বৌদ্ধ, জৈন, মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান এভাবে ভাগ করতে আপনি না চাইলেও মানুষ এভাবে বিভাজিত। তারপরও অনেকে বলেন মানুষে মানুষে কোন ফারাক নাই। পৃথিবীর অন্যতম মিথ্যা ভাষণ এটি। আমি এই মিথ্যুকদের দলে। সাহিত্যকেও যারা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ … এভাবে বিভাজিত করেছে এখন তাদের জমানা চলছে। আর পঞ্চাশ বছর পর এ বিভাজন থাকবে না; আমার এখনই হাস্যকর মনে হয়। … মনোজ দত্ত ))

বিজ্ঞান অসম্ভবকে সম্ভব করে। সাহিত্যও করে। ফারাক হলো সাহিত্য বিজ্ঞানের আগে করে। সে সম্ভব কালি ও কাগজে। বিজ্ঞানের ‘সম্ভব’ বাস্তবতায়। “চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে” – এই দেখানো বিজ্ঞান। “সে-ই সত্য যা রচিবে তুমি, .. .. হে কবি তব মনোভূমি, রামের জন্মস্থান অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো” – এই দেখানোর নাম সাহিত্য।

সাহিত্যের স্বাধীনতা বিজ্ঞানের চেয়ে শতগুণ বেশি। সায়েন্স ফিকশন, হরর স্টোরি – এই স্বাধীনতার অস্বয়ংক্রিয় সংস্করণ। সায়েন্স ফিকশনের ‘ফিকশন’ বা ভৌতিক গল্পের ‘হরর’ অংশটুকুই একজন লেথকের এসিড টেস্ট। তিনি কতটুকু যৌক্তিক কল্পনার সৃষ্টি করতে পারছেন যা বিজ্ঞানীকে প্রলুব্ধ করবে কল্পনার বাস্তব প্রয়োগে। তথাকথিত ‘বেস্টসেলার’ ঠাকুরমা’র ঝুলি-র ব্রহ্মদৈত্য বা শাকচুন্নি, আরব্য রজনী-র নিমাদেব-চিমাদেব-মালেকা হামিরা অথবা হ্যারি পটার ‘পাঠক’-এর মাথার সংখ্যা বাড়াতে পারে কিন্তু গণতন্ত্রের মতো মাথার ভেতরটা দেখে না। আসছে সময় সাহিত্যে ‘ভেতর’ দৃষ্টি-র সময়, অন্তর্দৃষ্টির সময়। হ্যারি পটার, বেদনার রং, সেই বিকেল, প্রেম যায় আসে প্রেমিক — ঘরানার সাহিত্য শ’ বছর রাজত্ব করে পাঠকদের ‘জন্ম-মৃত্যু-বংশবিস্তার’ থিউরি থেকে তো বের করতে পারেইনি বরং যোগ করেছে “অ -তে অজগর আসছে তেড়ে, আ -তে আমটি আমি খাব পেড়ে” -র মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্কৃতি। নামে ‘সোশ্যাল’ কিন্তু কাজ সেই ‘আমি’ আর ‘আম’ খাওয়াতেই সীমাবদ্ধ – কি অনলাইন মিডিয়া আর কি ইলেকট্রনিক!

সাহিত্যের যে দর্শন কাঁপাবে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে, যে কল্পনা বিজ্ঞানীকে দ্বিতীয়বার ভাবাবে, যে শব্দবুনন সমাজতত্ত্বের ফাঁক-ফোঁকর থেকে বের করে আনবে অসামাজিক প্রথা, যে প্রকাশভঙ্গি ক্ষুরধার চাবুকের মতো উল্টো চাবকে দেবে অফুরান প্রাণশক্তিতে নাযিল হওয়া শরীয়া বা তজ্জাতীয় দোররা’র আঘাত — সে সাহিত্যের কোন একক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে না এবং সে সাহিত্য স্বাধীন যার কোন নিলামের প্রয়োজন পড়ে না। সমকাল বা পরকাল নয়, মহাকালই তার প্রকৃত পরীক্ষক।

.. .. .. ..  লে হালুয়া। প্রফেসর গোপাল শংকরের বক্তব্যের ছাত্রদের জন্য উপসংহার অংশটুকু আগামিকাল তিন নং লেকচার গ্যালারিতে ডেলিভার হবে ঘোষণা দিয়ে হাততালি ছাড়াই অনুষ্ঠান শেষ হলো। কারণ সবার দুই হাতেই তখন ঢাউস উপহার সামগ্রী আর ফাইভ স্টার রেটেড হোটেলের ততোধিক ঢাউস লাঞ্চ প্যাক যদিও ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকাল চারটা। কেউ কেউ হলের ভেতরেই প্যাকেট খুলে লাঞ্চের সদগতি করছেন। ক্ষুধার পেটে ধরণী খাদ্যময়। হলময় বাসমতি চালের মৌতানো সুবাসের ভেতরেই ফাঁকা স্টেজে দাঁড়িয়ে লজিপ্ল্যান্টের সেম্পল ডিসপ্লে করছেন মাননু আনোয়ার। বলা হচ্ছে এ ইমপ্ল্যান্ট (ট্রেড নেম : লজিপ্ল্যান্ট সিক্স) শরীরের ভেতর থাকলে (চার বছর মেয়াদি) হরমোনাল ইফেক্ট, এনজাইম কন্ট্রোল, ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স ও স্লো রিলিজিং এনার্জির মাধ্যমে যা যা কমাবে তা আগে কখনো হয়নি :

* অত্যধিক রেগে যাওয়া

* আত্মহত্যার প্রবণতা

* একা থাকার মানসিকতা (ফিমেল স্টাডি গ্রুপে ভালো ফল পাওয়া গেছে)

* ধর্মে অবিশ্বাস (ক্যাডেট মাদরাসাগুলোতে রেসপন্স ভালো)

* প্রথাবিরুদ্ধ ভাবনা

* মাদকাসক্তি   .. .. ..

“এই লেখার চরিত্র বা চরিত্র সমূহের সাথে অতীত ও বাস্তবের আংশিক কিংবা পূর্ণ সামঞ্জস্য বা অসামঞ্জস্য নিছক ভাবনা প্রসূত। কোন ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী, সমাজ, সংগঠন, সংস্থা, ধর্ম, তত্ত্ব বা রাষ্ট্রনীতিকে কোন প্রকার আঘাত দেয়া বা সম্মানিত করা; কোনটাই কাহিনীকারের অভিপ্রায় নয়।”

m a n o j  d u t t a

www.mkdpf.com

 

 

Category:

Description

Bidhormi NaCl

বিধর্মী NaCl

By Manoj Dutta

বইটি পড়ার নিয়ম :

———————

১/  বইটি শেষ থেকে শুরুতে পড়তে হবে; এটি ৫২১ পৃষ্ঠার বই। পড়তে হবে পৃ: ৫২১, ৫২০, ৫১৯, ৫১৮, ৫১৭ .. এভাবে, কারণ বইটি পরকাল ঘুরে এসেছে। ফিরদাউসে এক লুকোনো ছাপাখানা থেকে এটি চুরি গেছে। বিস্তারিত জানতে পুরোটা পড়ুন।

২/  বইটির অনেক পৃষ্ঠার কোন পাঠ সম্ভব না। কারণ পৃষ্ঠাগুলো যে ভাষায় লেখা হয়েছে তা পৃথিবীর কোন ভাষা না। মারীয়াম্মানের ভাষায় বইটির কিছু অংশ লেখা। স্বর্গের গুপ্ত কিছু দেবী যারা গহীন সমাদ্দারকে হত্যার জন্য প্রেরিত হয়েছে, তারাই এ পৃষ্ঠাগুলোর ভাষা বুঝবে। মনোজ দত্ত এ ভাষা বুঝেন না। তারপরও তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন অসম্ভব বুদ্ধিমান প্রাণি কোন মানুষকে যিনি এর পাঠোদ্ধার করতে পারবেন। এটা জরুরি। গহীন সাহেবকে বাঁচানোর এই একটাই রাস্তা।    

৩/  .. ..

[ মনোজ দত্ত’র  ‘বিধর্মী NaCl’ -বই থেকে উদ্ধৃত ] 

লজিপ্ল্যান্ট সিক্স : সাবডারমাল ইমপ্ল্যান্ট ও লাশকাটা ভগবান 

(পর্ব – ২১)

———————————–

দুই বোতল টেনেছে আবুল। এই দুনিয়ায় পরিমাণ ও পরিমাপ না-জায়েজ। কিসে মাপবে? মাপার কোন একক নাই। পৃথিবী হলে গ্লাস দিয়ে মাপতো। রমেশ বাবু ঢেঁকুর দিয়ে মাপতেন। ১ বোতল = ৪ ঢেঁকুর। এই পুলিশ অফিসারের সাথে বনি আদমের দুনিয়ায় দেখা হয়েছিল আবুলের। ডিবি’র চৌকস অফিসার। ডিবি শব্দটার পুরো মানে আবুল এখনো জানে না। সাগরদীঘি পারের কালা নাহিদরা আরেক ডিবি’র কথা বলতো। সেই ডিবি ভেতরে বাইরে আবুল চেনে। 

আবুলের নেশা হচ্ছে না। এই কাজের জন্য নেশার দরকার। পৃথিবী থেকে বিদায়টা খুব স্মরণীয় ছিল। তার জন্য একটা দেশ অচল ছিল প্রায় তিন দিন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ রাগ অনুরাগ আর বিরাগের উর্দ্ধে উঠে তার খুনের আসামীদের ধরলো কি না তা আর জানা হলো না। অনেকদিন পর আবুল টেনেছে। বেহেশতের মদে নেশা নাই। সাদা মদ। মদের নদী আর মধুর নদী আলাদা। সমস্যা হলো নেশা ছাড়া এই কাজ পুরোটা তার ইয়াদ হচ্ছে না। ষাট হাত লম্বা শরীরে দুই বোতল কোন ব্যাপার না। বোতলটারও কাহিনি আছে। নন্দনকাননে তো বোতল থাকার কথা না। বোতল এসেছে হাশরের ময়দান থেকে। আট লক্ষ বিরাশি হাজার তিনশ’ এক নং সিরিয়ালে আবুল হিসাব দেয়ার জন্য অপেক্ষমান ছিল। পরে বোঝা গেল হালাল হারাম আলাদা তরিকা। যারা জীবিকার জন্য মাল টেনেছে তাদের স্পেশাল কনসিডার করা হচ্ছে। এ নিয়ম আগে ছিলো না, কেয়ামতের পরে পুরো পৃথিবী সমতল না হওয়াতে নিয়মে কিছু চেঞ্জ এনেছেন সর্বশক্তিমান। ডোমদের লাশকাটা ঘরে ডিউটির আগে পরে মাল টানা ফরজ হয়েছে। সেকশন ভাগ করাতে আবুলকে পঞ্চাশ হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়নি। আরেক পাঁড় মাতাল ছিলো আবুলের ঠিক পেছনে। ব্যাটা এখনো লুকিয়ে বোতলে টান দিচ্ছে। সেও হালাল ক্যাটাগরিতে। মহাপ্রলয়ের তাণ্ডব তার হাত থেকে বোতল বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এতক্ষণ তার কোনো সাড়া ছিলো না। মনে হয় শিঙার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ফুঁ-তে সে জীবিত হয়েছে। বিচারপ্রার্থী সবাই নাঙ্গা, মহানাঙ্গা। মহাকম্পনে যখন সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিদীর্ণ হয়েছে, দেহের কোর্তার যে হদিশ থাকবে না -সেটাই স্বাভাবিক। তবে বোতল রয়ে গেছে। এই পাঁড় মাতাল তার বোতল গছিয়ে দিয়েছে আবুলকে।

বেহেশতে মৃত্যু নেই। এটাই এ যাবতকালে হয়ে এসেছে। ব্যতিক্রম হলো এবার। এজন্যই আবুলকে তলব করা। কেউ একজন মারা গেছেন। তিনি যে জীবিত ছিলেন তা না। জীবিত কেউ বেহেশতে থাকেন না। মৃত্যুর পরের ঠিকানা হয় স্বর্গ নয় নরক। মৃত হলেও যে আবার মৃত্যু হয়, আবুল তা প্রথম দেখলো। বেহেশতের অনেকেই তার মতো প্রথম দেখলো। এই দ্বিতীয় মৃত্যু গুণাহ্ না সওয়াবের তা এখনো কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেন নি। এজন্য মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান জরুরি। সুরতহাল হবে। কারণ খতিয়ে দেখবে এক প্রফেসর। এই প্রফেসর জাপানে ইন্তেকাল করেছিলেন। কাফের। নাম হিজো তাকেনাকা। শিন্তো ধর্মের অনুসারি। আবুল এই ধর্মের নামও শুনেনি বাপের জন্মে। অবশ্য বেহেশতে কারোর বাপ-মা নেই। কার সাথে কার কী সম্পর্ক কেউ জানে না। জানা থাকলে ভালো হতো। দুনিয়াতে বড় হওয়ার পর আব্বাকে বেশিদিন দেখেনি আবুল। আব্বা জান্নাতবাসী হয়েছিলেন তার শৈশবেই। আবুল ভাবতো জান্নাতে আব্বার সাক্ষাত পাবে। সে আশায় গুড়ে বালি। প্রফেসরকে দোজখ থেকে আনা হয়েছে। এ কাজে দক্ষ কোনো মুমিন বান্দা বেহেশতে পাওয়া যায়নি। কাটাকাটির কাজ আবুলকে করতে হবে। সেটাই তার স্মরণে নেই। নেশা ছাড়া স্মৃতি পুনরুদ্ধার হবে না।

দেবরাজ ইন্দ্রও চিন্তায় আছেন। তাঁর ছাব্বিশ অপ্সরার সবার প্রায় কোনো না কোনো সমস্যা। মূল সমস্যা হরমোনাল ইমব্যালেন্স বলে ডায়াগনোসিস করেছেন এক ইহুদি ডাক্তার। মেনকা, উর্বশী, রম্ভা, তিলোত্তমা, অম্বিকা, কাম্যা কারোরই রূপ আর আকাঙ্খার আবেদন আগের মতো নেই। নৃত্যকলায় চোখের তারা আর নাচে না। দেবরাজের মেজাজও খিটখিটে থাকে। ঐ ইহুদি চিকিৎসক ইন্দ্রদেবেরও শারীরিক সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন। শুনে আরেকটু হলেই বজ্র ছুঁড়ে উড়িয়ে দিতেন ঐ বিধর্মীকে দেবরাজ। বিশ্বকর্মা বাঁচিয়েছেন। ঐ ডাক্তারকে দরকার। তার শিখিয়ে দেয়া কিছু কসরৎ রোজ অভ্যাস করেন বিশ্বকর্মা। এতে স্কন্ধবিষ কমেছে। আগে ডান হাত উঠাতেই পারতেন না, এখন পারেন। অমৃত খেয়েও কাজ হয়নি বিশ্বকর্মার। সেই থেকে তিনি ডাক্তারে বিশ্বাস করেন। তবে রোজ অমৃত খেয়ে যাচ্ছেন ইন্দ্রদেব। পরিমাণও বেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। মাত্রাতিরিক্ত অমৃত পান করায় দেবরাজের যেবার উদরাময়ের লক্ষণ দেখা দেয়, সেবার ডাকা হয় স্বর্গবৈদ্য অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে। এরা দু’ভাই।  থাকে খায় শোয় একসাথে। এরা কোন অপ্সরায় আসক্ত নয়। শোনা যায় এদের প্রেম ছিলো বহু বহু বছর আগে পৃথিবীতে মদ্র দেশের রাজকন্যা মাদ্রীর সাথে। মাদ্রীর স্বামী ছিল রাজা পাণ্ডু। স্বামীর মৃত্যুর পর মাদ্রীও একই চিতায় সতী হন। স্বর্গে মাদ্রীর জন্য আজো অপেক্ষমান এই দুই ভাই অশ্বিনীকুমার। সতী হওয়ার পরও মাদ্রীকে স্বর্গে পাওয়া যায়নি।

বেহেশত থেকে অমরাবতীতে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। ইন্দ্রদেব নড়ে বসলেন। বেহেশত কর্তৃপক্ষের মদিরা দরকার যে মদিরায় নেশা হবে, মাতাল নেশা। সাদা মদে আবুলের নেশা হচ্ছে না। বেহেশতে একজনের মৃত্যু সংবাদও ইন্দ্রদেব পেয়েছেন। তিনি ভীত নন। স্বর্গের অনেকে অসুস্থ বটে কিন্তু কেউ স্বর্গবাসী হয়নি। ইন্দ্রদেব ভাবছেন অন্য কথা। বেহেশতে প্রথম মৃত্যু। এই মড়ক কি স্বর্গেও হানা দেবে? গন্ধে গন্ধে হাজির হয়েছেন নারদ। তাঁর হাতে একটি অ্যাকসটিক গিটার। সেতার বদলে নারদ গিটার নিয়েছেন। গিটারটি পৃথিবীর বাচ্চু নামের এক গায়কের। অনেক কৌশলে নারদ এটি হস্তগত করেছেন। এই গায়ক পৃথিবীতে মহামানবতুল্য। আজরাইল যখন বাচ্চুর জান কবচ করেন তখন কৌশলে গিটারটি সরিয়ে রাখা হয়। কৌশল নারদের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে গিটারটি নতুন। তিনি এটি হাতছাড়া করেন না। তিনি দেবরাজকে বুদ্ধি দিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের চোখ চকচক করে উঠল।

বিনিময় চুক্তির আওতায় স্বর্গ থেকে বেহেশতে সোমরস পাঠানো হয়েছে। বেহেশত কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছেন ছত্রিশজন মাকসুরাত হুর। বলাই বাহুল্য যে জান্নাত লাভকারী ডোম আবুলের বরাদ্দের মাত্র অর্ধেক সংখ্যক হুর পাঠিয়ে ইন্দ্রকে বশে আনা গেছে। পাওয়া গেছে দশ হাজার বছর চলার মতো সোমরস। বেহেশতের মদ নদী, দুগ্ধ নদী আর মধু নদীর পাশে কৃত্রিম খাল খনন করে এ সোমরস রাখা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে এ রস জান্নাতীরা ব্যবহার করবেন। হালাল কমিটি রসটি পরীক্ষা করে হারাম কিছু পায়নি। নারদের বুদ্ধি বলে কথা। আজকে একটি বিশেষ প্রয়োজন সমাগত। আবুল ডোম এ প্রয়োজনের উসিলা। আবুলের পেটে সোমরস। মাথা খুলছে। আবুল এগিয়ে যাচ্ছে মৃতদেহের দিকে। বেহেশতের মৃতদেহ। দ্বিতীয় মৃত্যু।   (shortened)

www.mkdpf.com

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বিধর্মী NaCl ( বিধর্মী সোডিয়াম ক্লোরাইড )”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close Menu
×
×

Cart