Medical Promotion in Bangladesh
৳ 600.00 ৳ 510.00
MEDICAL PROMOTION IN BANGLADESH
Medical Promotion in Bangladesh
a wrong nail with a wrong hammer to hang a photo of wrong impression
[ This is the first illustrative book explaining the ethics and policies of medical promotion sector as well as the same of the stakeholders in the contest of Bangladesh after 50 years of independence. ]
By Dr. Manoj K. Dutta
বাংলাদেশে মেডিক্যাল প্রমোশনের জোয়াল ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ঔষধ কোম্পানিগুলোর কাঁধে। ফলত তারা নিজ নিজ প্রস্তুতকৃত ঔষধের বার্তাই বয়ে বেড়াবে ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করবে, এটাই স্বাভাবিক। অপসোনিনের সিকোন ২৫০ মিগ্রা আর স্কয়ারের সিভিট ২৫০ মিগ্রা — এ দু’য়ের কোনটিতে ভিটামিন সি নির্ধারিত মাত্রার অনেক কম আছে (যদি থাকে), তা নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে রাষ্ট্র কখনোই ল্যাব টেস্ট করবে না। কারণ রাষ্ট্রও মেডিক্যাল প্রমোশনের দায়ভার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওপর চাপিয়ে ত্রুটিপূর্ণ ঔষধনীতি প্রণয়ন করেন। ফলে নিজের ঢাক নিজে বাজাও নীতিতে চলছে ঔষধ প্রস্তুতকারক বা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। নীতির ভেতর আছে অনীতি ও দুর্নীতি। গোড়ায় গলদ থাকলে যা হয়।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
জবাকুসুম তেল একটি ভোগ্যপণ্য। কেন জবাকুসুম তেল কেওকারপিন কেশতৈল হতে উৎকৃষ্ট এজন্য প্রমোশন হতে পারে। কনজিউমার প্রোডাক্ট প্রমোশন যুক্তিসিদ্ধ ধরা যায়। ক্যাপসুল এক্সিয়াম এবং ক্যাপসুল সারজেল – আমাদের তথাকথিত মেডিক্যাল প্রমোশন এ দু’য়ের যেকোনটির সেলস বাড়াতে পারে, কনসাম্পশান লেভেল বাড়াতে পারে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সায়েন্টিফিক কোয়ালিটি ফ্যাক্টস বা মান সম্পর্কে জানাতে পারে না, কারণ দুটোই ইসোমেপ্রাজল এবং আজ পর্যন্ত কোন তৃতীয় পক্ষ বা রাষ্ট্রীয় সংস্থা ‘ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেড প্রোডাক্ট কমপারেটিভ স্টাডি’ করেনি। ঔষধ কোন পণ্য নয়, এটি প্রয়োজন। জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনের কোন প্রমোশনের দরকার হয় না। এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রমোশন কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে ঔষধ বণিকদের স্বার্থে। এক হাতে তালি বাজে না। আমাদের ডাক্তার সমাজের একটি বৃহৎ অংশ এ বাণিজ্যকে উসকে দিচ্ছেন নিজেদের আর্থিক বা বহুবিধ স্বার্থে। কোন কোন ডাক্তার সাহেব কোম্পানির কাছ থেকে চাওয়াটাকে অধিকারে পরিণত করেছেন। বিষয়টি এতটাই ভয়াবহ যে, মেডিক্যাল প্রমোশন সেক্টরের চিরন্তন সত্য প্রবাদ হচ্ছে ‘লাগে টাকা, দেবে কোম্পানি’।
কথা হচ্ছে, কোম্পানি কিভাবে দেবে? আমার জানা মতে কিছু হাতে গোণা প্রথম সারির মাল্টিন্যাশনাল ঔষধ কোম্পানির স্পেশাল প্রমোশন সেক্টরে অর্থ বরাদ্দ থাকে; তাও সায়েন্টিফিক প্রমোশন, রিসার্চ প্রমোশন, কেইস স্টাডি বা এডভারস ইভেন্টস এনালাইসিসে এ অর্থ ব্যয়িত হয়। এর বাইরে কর্পোরেট বা মালিকানা যেকোন ঔষধ কোম্পানিই ‘লাগে ফ্রিজ দেবে কোম্পানি’, ‘লাগে এসি দেবে কোম্পানি’, ‘লাগে টিভি দেবে কোম্পানি’, ‘লাগে গাড়ি দেবে কোম্পানি’ বা ‘যাবো বিদেশ নেবে কোম্পানি’-র জন্য কখনো মুনাফা থেকে অর্থ বরাদ্দ করে না কারণ দিন শেষে সে একজন ঔষধ বণিক যার নৈতিকতা মুরগি-ডিম পলিসির উর্দ্ধে উঠতে পারেনি।
তাহলে বাড়তি টাকা কোথা থেকে আসবে? হয় ঔষধের দাম বাড়িয়ে বা মান কমিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে দাম অপরিবর্তিত রেখে। যে কাঁচামালে আগে এক লক্ষ পিস ক্যাপসুল অ্যামক্সিসিলিন ৫০০ মিগ্রা তৈরি হতো সে একই কাঁচামালে (র ম্যাটিরিয়াল) এখন এক লক্ষ সত্তর হাজার পিস ক্যাপসুল অ্যামক্সিসিলিন ৫০০ মিগ্রা তৈরি হয়। তৈরি যে হয় বা হয় না, তার তদন্ত কি কখনো বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর করেছে? না করবে? না-কি এটা সরকারের কোনো সংস্থার আওতাধীন বিষয় নয়?
বেড়ালের গলায় ঘন্টা পরানোর নীতিতে বলি; এজন্যই এখন এক প্যারাসিটামলে মাথাব্যথা কমে না, সলিম মিয়ার ইমপোর্টেড প্রিগাবালিন প্রয়োজন হয় বা অন্যতম কারণ হিসেবে আমজনতার ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স গ্রো করে। ট্যাবলেট সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ মি.গ্রামে আসলেই ৫০০ মি.গ্রাম আছে কিনা, সে নিশ্চয়তা আপনাকে কে দেবে? ঔষধ কোম্পানি? তাহলেই সেরেছে। যে চিকিৎসক ‘মেডিক্যাল ওথ’ নেয়ার পরও মুরগি-ডিমের আবর্তে খাবি খান, সেখানে কোম্পানি কি ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির?
তবে সব যুধিষ্ঠিরকেই একদিন জবাবদিহি করতে হয়।
(( বি.দ্র. : সব সূত্রেই যেমন ব্যতিক্রম আছে, তেমনি কিছু চিকিৎসকও ব্যতিক্রমে পড়েন যাঁরা একলা পথ চলতে চলতে হয়তো আজ ক্লান্ত। কিছু ঔষধ কোম্পানিও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমে পড়েন যাঁরা একদিন ছিন্ন করবেন গিভ-টেক পলিসি। ))
___________________________________________________
বইটিতে প্রথম অধ্যায় সূচনাপর্ব ছাড়া বাদবাকি তেরোটি অধ্যায়ে বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রমোশনের জগতটিকে সুরতহাল করে সমস্যার মূল উৎসে যাওয়া হয়েছে এবং বাতলে দেয়া হয়েছে ইস্যুভিত্তিক সমাধান। পনেরোতম শেষ অধ্যায়টি কিছু অনুসন্ধানী আলোকচিত্রের সমন্বিত অ্যালবাম।
( This is a Bengali translation of the “Preface” of the book – Medical Promotion in Bangladesh )
লেখক : মনোজ দত্ত
[ কবি, লেখক, চিকিৎসক ও প্রকাশক যিনি বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রমোশনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ]
Description
MEDICAL PROMOTION IN BANGLADESH
This is the first illustrative book explaining the ethics and policies of medical promotion sector as well as the same of the stakeholders in the contest of Bangladesh after 50 years of independence.
By Dr. Manoj K. Dutta
Medical Promotion in Bangladesh
a wrong nail with a wrong hammer to hang a photo of wrong impression
( This is a Bengali translation of the “Preface” of the book – Medical Promotion in Bangladesh )
বইটিতে প্রথম অধ্যায় সূচনাপর্ব ছাড়া বাদবাকি তেরোটি অধ্যায়ে বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রমোশনের জগতটিকে সুরতহাল করে সমস্যার মূল উৎসে যাওয়া হয়েছে এবং বাতলে দেয়া হয়েছে ইস্যুভিত্তিক সমাধান। পনেরোতম শেষ অধ্যায়টি কিছু অনুসন্ধানী আলোকচিত্রের সমন্বিত অ্যালবাম।
বাংলাদেশে মেডিক্যাল প্রমোশনের জোয়াল ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ঔষধ কোম্পানিগুলোর কাঁধে। ফলত তারা নিজ নিজ প্রস্তুতকৃত ঔষধের বার্তাই বয়ে বেড়াবে ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করবে, এটাই স্বাভাবিক। অপসোনিনের সিকোন ২৫০ মিগ্রা আর স্কয়ারের সিভিট ২৫০ মিগ্রা — এ দু’য়ের কোনটিতে ভিটামিন সি নির্ধারিত মাত্রার অনেক কম আছে (যদি থাকে), তা নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে রাষ্ট্র কখনোই ল্যাব টেস্ট করবে না। কারণ রাষ্ট্রও মেডিক্যাল প্রমোশনের দায়ভার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওপর চাপিয়ে ত্রুটিপূর্ণ ঔষধনীতি প্রণয়ন করেন। ফলে নিজের ঢাক নিজে বাজাও নীতিতে চলছে ঔষধ প্রস্তুতকারক বা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। নীতির ভেতর আছে অনীতি ও দুর্নীতি। গোড়ায় গলদ থাকলে যা হয়। …. …. ….
মেডিক্যাল প্রমোশন খাত কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে মর্মে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কিছু নেই। এটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে এ খাতের মেধাবী জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মের সংস্থান করতে। আমি নিশ্চিত একজন অনার্স বা মাস্টার্স হোল্ডার মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার (এমপিও) হিসেবে যে স্বপ্ন নিয়ে যোগদান করেন তা অল্পতেই হারিয়ে যায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বণিকবৃত্তির ছোবলে। একজন জমির দালালের টার্গেট থাকে জমি বেচা। একজন এমপিও -কেও দেয়া হয় ঔষধ বেচার টার্গেট। এ টার্গেট পূরণে তিনি সম্ভাব্য সবকিছু করেন কারণ এটি রুটি-রুজির প্রশ্নে প্রাধান্যযোগ্য। পতনের শুরু এখানেই। পড়তে পড়তে কেউ কেউ উঠেন, সেই তৈলাক্ত বাঁশের বানরের মতো। তাঁরা ম্যানেজার বা রিজিওনাল ম্যানেজার। যত ওপরেই ওঠেন না কেন, চোখ থাকবে সেলসের দিকে। শকুনের চোখ যেমন ভাগাড়ে। সেলসের বাইরে যাওয়ার কুদরত নেই রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার বা আরএসএম অথবা ডিরেক্টর লেভেলের যে কারো। সেলস বাড়াতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামতে হয় অন্য কোন প্রতিযোগী ঔষধ কোম্পানীর সাথে। সেলস টার্গেট ধরে রাখতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করা মানুষগুলো বেতনের সিংহভাগ দিয়ে নিজ কোম্পানির ঔষধ নিজেই খরিদ করেন। তবু টার্গেট পূরণ হবে। বিনিময়ে কোন প্রমোশন বা ইনসেনটিভ। এটি পুরস্কার নয়। এটি এ দুষ্টচক্রের কোন অন্ধকার সিঁড়িতে আটকে যাওয়ার শুরু। কারণ ঔষধ কোম্পানীর টার্গেট শুধু বাড়ে। সেলস টার্গেট বলে কথা।
এর মধ্যে জীবনের সুখ-দুখের চাকাও ঘুরতে থাকে। থাকে এক্সপেন্স বিল, আউট স্টেশন বিল নামের সোনার হরিণরা। সব হরিণকে ছাপিয়ে এমপিও’র চোখ যায় আরএসএমের গাড়ির দিকে, কোম্পানির দেয়া গাড়ি। ততদিনে এমপিও থেকে হয়েছেন এরিয়া ম্যানেজার। দু’হাজার টাকা বেশি বেতনে ফার্মা সেক্টরে সুইচিং চলে। অন্য কোন কোম্পানিতে সিনিয়র এরিয়া ম্যনেজার পোস্ট। কর্পোরেট সেক্টরে না-কি সুইচ না করলে ওপরে ওঠা যায় না। নতুন কোম্পানি, নতুন টার্গেট, নতুনভাবে পুরনো পতন। একই জেনেরিকের অপসোনিনের বদলে অরিয়নের ঔষধ তখন কাজ করে বেশি। নতুন সেলস, নতুন কাস্টমার। কাস্টমার ইজ গড। কাস্টমারের শেষ নেই। ফার্মেসীওয়ালা কাস্টমার (তিনি ঔষধ না রাখলে কিছু করার নেই), ক্লিনিকের স্টোর অফিসার কাস্টমার (স্টোরে ঔষধের চাহিদা না থাকলেও তাঁর বদৌলতে চাহিদা আসবে), হাসপাতালের পারসেইজ অফিসার কাস্টমার (তিনি অন্যের কাছ থেকে একই ঔষধ না নিয়ে আপনার কোম্পানির ঔষধ নেবেন), সরকারি হাসপাতালের পরিচালক বা সহ-পরিচালকগোষ্ঠী আপনার কাস্টমার (টেন্ডার বিজনেস বা দরপত্র ব্যবসার সিংহভাগের হর্তা-কর্তা এনারাই)। অনেক কাস্টমার, অনেক গড। অনেক গডফাদার। ক’জন গডকে আপনি খুশি করবেন? আপনি মেডিক্যাল প্রমোশনের স্টাফ। হওয়ার কথা ছিল আপনার প্রোডাক্ট আপনার গড। ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা প্রোডাক্টের বদলে, ঔষধের বদলে কাস্টমারকে ভগবানে পরিণত করেছে। ফলে ঔষধ অবহেলিত হচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে ভগবানেরা। ফলে একই জেনেরিকের একই মাত্রার একই ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন দামে বাজারে বিকোচ্ছে। প্রস্তুতকারক ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি। নেই কোন তদারকি। নেই কোন কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ। কাস্টমার ইজ গড নামের ভগবানেরাই নির্ধারণ করছেন কোন কোম্পানির ঔষধ অধিক কার্যকর। সে হিসেবে আসছে অর্ডার, বাড়ছে সেলস। অ্যানুয়েল সেলস কনফারেন্স হচ্ছে কুয়াকাটা বা কক্সবাজারে। এমপিও বা ম্যানেজাররা ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। বাড়ছে মাথাপিছু গড় আয়। কিন্তু সলিম মিয়া ঔষধের পর ঔষধ খাচ্ছেন। ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির একই ঔষধ। কোন কোম্পানির প্রিগাবালিনই কাজ করছে না। শেষমেষ ডাক্তার সাহেব ঔষধ বদলালেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . .
লেখক : মনোজ দত্ত
[ কবি, লেখক, চিকিৎসক ও প্রকাশক যিনি বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রমোশনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ]
Reviews
There are no reviews yet.